নারী ও যৌনতা
- এস. মেহেদী হাসান - শেষ কবে হেসেছিলাম? ২৮-০৪-২০২৪

গভীর নিস্তব্ধ রাত-
শুনশান নিরবতা,
বাঁশের সরু পাতায়-
বয়ে যায় সমান্তরাল হাওয়া।
মাঝে মাঝে খচমচ শব্দে-
মগজে ভূতের আনাগোনা,
এলোমেলো মেঘের ফাঁকে-
গোল্লাছুটে মত্ত চাঁদ আর তাঁরা।
দিঘীর শান্ত কালো জলে,
প্রতিফলিত হয় মায়াবী জ্যোৎস্না।
সব চোখ ঘুমের প্রেমে-
সমর্পণ করে নিজেকে,
শুধু আমি আছি জেগে-
লিপ্ত পাপী সম্ভোগে।
আমি উচ্ছ্বাসে মাতি -
হাজারো যুবতীর দেহে,
ময়নাতদন্ত করি-
শরীরের প্রতিটি খাঁজে-খাঁজে।
তন্নতন্ন করে খুঁজি -
অপ্রকাশিত হাজারো সাহিত্য,
হতবাক হই আমি-
দেখি রমণীর দ্বিত্ব অস্তিত্ব!
সফেদ পাতায় লেখা-
তাদের দুঃস্বপ্নের ইতিকথা,
কামাতুর পুরুষের গন্ধ-
সে শব্দের গায়ে মাখা।
জরায়ুতে লেপ্টে আছে-
অযাচিত বীর্যের উষ্ণতা,
এখনও নিরবে লুটছে সম্ভ্রম-
নীতিহীন কামুক সভ্যতা।
সুযোগে পেলেই দেখা মেলে-
সম্পর্কের বিসর্জিত রুপ,
দুর্বল বালিকার দেহে-
পুরুষ লুটে রমনের সুখ!
যৌবনের বার্তা দিয়েছিলো তাকে-
যে কয়েক বিন্দু রক্ত,
বাস্তবতার বোবা ক্যানভাসে-
সেই রক্তেই আঁকে করুন ধর্ষন চিত্র।
অফিসের বস থেকে-
লোকাল বাসের হেলপার,
নাগাল পেলেই হাত দেয়-
নরম সুভাষিত মাংসে বারবার।
কেউবা নিয়ে আসে রঙিন স্বপ্ন-
প্রেম নামক মিথ্যে আশা,
উষ্ণ দেহে বাঁধে সে -
ক্ষনিক যৌনতার বাসা।
সময়ের হাত ধরে-
নারী হয় ঘরনি,
শাড়ীর আচলে বাঁধে-
নতুন স্বপ্নের চাবি।
আজ্ঞাবহ বধূ হয়ে-
স্বামীর লোমশ বুকে,
নিজেকে দেয় সঁপে-
একটা মানুষের খোঁজে।
এখানেও কামুক পুরুষ-
লুটে মধুবন,
অবজ্ঞায় দুরে ঠেলে-
কয়েক যোজন।
জীবনের ধাপে-ধাপে,
এমন শত গল্প,
নারীকে দ্বি-রুপ দিয়েছে-
বাঁচা মরার দ্বন্দ্ব।
খেলার উঠান থেকে-
রহস্যময়ী সংসার,
পরাজিত সৈনিক হয়ে-
আপোষ করে বারবার।
নারীত্বের বিস্তর পথে-
পড়ে থাকা অব্যক্ত ক্ষোভ,
ধেয়ে আসে আমার পানে-
দেখি সর্বগ্রাসী রুপ।
দিঘীর শান্ত জলে-
নেমে আসে মগজের ভূত,
জ্যোৎস্নার বিভৎস বিচ্ছুরণে-
ছুটি নেয় বিবেকের ঘুম।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।